আজ ৩রা এপ্রিল বিশ্ব জলজ প্রানী দিবস।
3️⃣ আজ ৩রা এপ্রিল বিশ্ব জলজ প্রানী দিবস।
যাদের জন্ম, বৃদ্ধি, প্রজনন তথা জীবনধারণের জন্য জলে বাস করা আবশ্যক তাদেরকে জলজ প্রাণী বলে।
উদাহরণ: মেরুদণ্ডীদের মধ্যে মাছ, কুমির, শুশুক, তিমি ইত্যাদি এবং অমেরুদণ্ডীদের মধ্যে জেলিফিশ, প্রবাল, হাইড্রা, এনিমনি, জলজ কীট পতঙ্গ ও ক্রাস্টেশিয়ানস (চিংড়ি, কাঁকড়া, লবস্টার ইত্যাদি), তারামাছ, অক্টোপাস, স্কুইড ইত্যাদি।
অধিকাংশ জলজ প্রাণীই তাদের সম্পূর্ণ জীবনকাল পানিতেই কাটিয়ে দেয় এবং পানিস্থ অক্সিজেন গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। অনেক জলজ প্রাণী রয়েছে যারা সম্পূর্ণ জীবনকাল পানিতেই কাটিয়ে দিলেও পানির পাশাপাশি বাতাস হতেও অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকে যেমন বায়ুশ্বাসী মাছ। অনেকে আবার জলে বাস করলেও শুধুমাত্র বাতাস থেকেই অক্সিজেন গ্রহণ করে বেঁচে থাকে যেমন ঘড়িয়াল, কুমির, তিমি, শুশুক ইত্যাদি। এদের মধ্যে অনেকে আবার জলে বাস করলেও ডিম পাড়ার জন্য স্থলে আসে। এদের ডিম স্থলেই পরিস্ফুটিত হয়ে ছানায় পরিণত হয় এবং পানিতে ফিরে যায় যেমন কুমির, ঘড়িয়াল, কচ্ছপ ইত্যাদি। তবে কিছু কিছু জলজ প্রাণী দেখতে পাওয়া যায় যারা স্থলে বাস করলেও জীবনধারণের (প্রধানত খাদ্যের) জন্য পানির উপর নির্ভরশীল যেমন ভোঁদড়। এরা উভচর জলজ প্রাণী হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলজ প্রানীর নাম তিমি।
জলজ পরিবেশে টিকে থাকতে সক্ষম হওয়ার জন্য, জলজ প্রাণীরা বিবর্তিত হয়েছে, জৈবিক এবং শারীরিক উভয় ক্ষেত্রেই অবিশ্বাস্য অভিযোজন অর্জন করেছে, যার সাহায্যে তারা তাদের পরিবেশে উপস্থিত সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহার করতে পারে।
এটা অবিশ্বাস্য যে এমন জলজ প্রাণী আছে যারা দুটি ভিন্ন উপায়ে অক্সিজেন পেতে পারে: তাদের মধ্যে একটি জলে ছড়িয়ে থাকা অক্সিজেন গ্রহণ করছে এবং অন্যটি জলের পৃষ্ঠে আরোহণের মাধ্যমে। এই কারণেই জলজ প্রাণীদের মধ্যে আমরা দেখতে পাই তিন ধরনের শ্বাসতন্ত্র ত্বক, ফুসফুস এবং ফুলকা।
ফুলকা যা নরম টিস্যু দিয়ে গঠিত একটি অঙ্গ এবং যার মাধ্যমে জলে ছড়িয়ে থাকা অক্সিজেন শোষণ করা যায়।
⭐ ত্বক এমন একটি অঙ্গ যা পরিবেশে গ্যাসের আদান-প্রদানের কাজ করে। এই ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসের অধিকারী একটি জলজ প্রাণীর উদাহরণ হল স্টারফিশ।
ফুসফুস এর মাধ্যমে শ্বাস গ্রহণকারী জলজ প্রানীদের পানির উপরের পৃষ্ঠে উঠতে হয়। যেমন -ডলফিন এবং তিমির ক্ষেত্রে, বা যে প্রাণীগুলো জলে বাস করে না কিন্তু ট্রানজিট করে। এটি তাদের জীবনের বিস্তৃত অংশ, যা পাখি এবং জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে ঘটে।
জলজ প্রানীদের পরিবেশে টিকিয়ে রাখার জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হলো পানি। যা নানাভাবে দুষিত হচ্ছে এবং যার কারণে জলজ প্রানীরা দিন দিন বিলুপ্ত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুজীব থেকে শুরু করে তিমি মাছ পর্যন্ত এমন হাজারো প্রানীর আবাসস্থল পানি।তাদের বাচিয়ে রাখার জন্য অবশ্যই মানসম্মত পানির প্রয়োজন। পানিতে বাস করা জলজ প্রানী অক্সিজেন গ্রহণ করে বেঁচে থাকে এবং পানির মাধ্যমেই তারা এই অক্সিজেন পেয়ে থাকে। পানি মানসম্মত হলে তারা বেঁচে থাকার জন্য বিশুদ্ধ অক্সিজেন পেয়ে থাকে। এখন পুকুর, নদী,খাল বিল,সাগর মহাসাগরের পানি যদি কোনো ভাবে দুষিত হয় তাহলে তাদের বেচে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়ে। বর্তমান সময়ে তাদের এই আবাসস্থল নানা ভাবে দুষিত হচ্ছে। কলকারখানার বর্জ্য, কয়লা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাসায়নিক ফ্যাক্টরির ধোঁয়া এবং সাগরের বড় বড় ইঞ্জিন চালিত জাহাজ থেকেও নানারকম বর্জ্য এবং ধোঁয়ার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পানি দুষিত হচ্ছে। যার কারণে জলজ প্রানীদের থেকে হারিয়ে যাচ্ছে তাদের সুষ্ঠু সুন্দর ভাবে বসবাস করার জন্য সঠিক আবাসস্থল। বর্তমান অনেক মাছ বিলুপ্তির পথে এবং কিছু কিছু প্রজাতি অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাদের এই বিলুপ্তির অন্যতম একটি কারণ হলো বিশুদ্ধ আবাসস্থলের অভাব।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে আমরা যদি বাংলাদেশের বুড়িগঙ্গা নদীর কথাই চিন্তা করি তাহলে বুঝা যায় যে জলজ প্রানীরা আজ কতটা হুমকির সম্মুখীন হয়ে আছে।। বুড়িগঙ্গা নদীর দিকে একবার চোখ পড়লেই ধারণা করা যায় এইখানে জলজ প্রানীর টিকে থাকার সম্ভাবনা কত শতাংশ হতে পারে। পানি দুষণের কারণে নদীটি হারিয়েছে তার সঠিক নাব্যতা এবং জলজ প্রানীরা হারিয়েছে তাদের আবাসস্থল।
তাই আমাদের সকলের উচিত জলজ প্রানীদের কথা মাথায় রেখে তাদের এই একমাত্র আবাসস্থলটি যেন কোনোভাবেই বসবাসের অনুপযোগী না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা।
#cuss
#world_aquatic_animal_day
References :
1)https://dictionary.bdfish.org/%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%9C-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%80/
2)https://www.sattacademy.com/job-solution/chapter=4676/read#:~:text=%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%20%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%20%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8B%20%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87%20%E0%A6%8F%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0,%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%87%20%E0%A6%8F%E0%A6%87%20%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%20%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A5%A4
3)https://www-prothomalo-com.cdn.ampproject.org/v/s/www.prothomalo.com/amp/story/bangladesh/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A6%B8%E0%A6%B9-%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%9C-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%80?amp_gsa=1&_js_v=a9&usqp=mq331AQIUAKwASCAAgM%3D#amp_ct=1680379994908&_tf=From%20%251%24s&aoh=16803799557147&referrer=https%3A%2F%2Fwww.google.com&share=https%3A%2F%2Fwww.prothomalo.com%2Fbangladesh%2F%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BE-%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%259A%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%259B%25E0%25A7%2587-%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%259B%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25B9-%25E0%25A6%259C%25E0
4)https://www.jugantor.com/todays-paper/city/23097/%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%9C-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%82%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE
Content Credit :
✏️ Written by :
Umma Habiba Eshita
Department of Zoology
Session: 2019-2020.
Poster Credit :
Ridwan Ahmed Siddique
Depertment: Marine Sciences
Session: 2019-2020