“বিশ্ব মা দিবস”
“মা” ছোট্ট একটা শব্দ। এই শব্দ যেন পৃথিবীর সকল শব্দের চেয়ে ভারী। ছোট্ট এই শব্দের অতলে লুকিয়ে থাকে এক সাগর ভালবাসা,অকৃত্রিম দরদ আর গভীর স্নেহ। তাই তো মমতাময়ী মায়ের সম্মানে প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার পালন করা “বিশ্ব মা দিবস”। এবছরেও মে মাসের ১৪ তারিখ (২য় রবিবার)পালন করা হচ্ছে মা দিবস; যদিও মাকে ভালবাসা, শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণ প্রয়োজন হয়না। সন্তানের কাছে প্রতিদিনই মায়ের জন্য ভালবাসা থাকে।
প্রথম ” মা দিবস”
আমেরিকার স্কুল শিক্ষিকা আনা জার্ভিস ১৯০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মা দিবসের প্রচলন করেন। ১৯০৫ সালে তার মায়ের মৃত্যুর পর তিনি মা দিবস নিয়ে বেশি প্রচারণা করেন। ১৯০৫ সালেই মা দিবসকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য লড়াই শুরু করেছিলেন আনা। মার্কিন কংগ্রেস প্রথম দিকে ১৯০৮ সালে এই প্রস্তাব খারিজ করলেও পরবর্তীতে মা দিবস প্রস্তাবটি স্বীকৃতি পায়। ১৯১৪ সালের ৮ই মে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন একটি আইন পাস করেছিলেন যে, মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস পালন করা হবে। মূলত তখন থেকেই পৃথিবীর অনেক দেশে মা দিবস পালন করা হচ্ছে।
❌ আনার বিরোধিতা:
মা দিবস স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সংস্থা বাণিজ্যিক লাভের আশায় কার্ড বানানো এবং বিক্রি করা শুরু করে। এর কঠোর বিরোধিতা করেন আনা। তার মতে, সন্তানেরা মায়েদের জন্য সময় ব্যয় করেনা, সন্তানদের উচিত সন্তানরা যাতে নিজেরাই কার্ড বানিয়ে মাকে উপহার দেয়। এখানেই শেষ নয়, এরপর তিনি মাদার্স ডে বয়কট করার জন্য জোর দাবি জানায়। পরে শান্তি ভঙ্গ করার কারণে আনাকে গ্রেফতারও করা হয়। ১৯৪৮ সালে আনা জার্ভিস মৃত্যুবরণ করেন।
অন্যান্য তারিখে “মা দিবস”
গ্রিসে মা দিবস পালন করা হয় ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে। ব্রিটেনে মার্চ মাসের চতুর্থ রোববার মা দিবস পালন করা হয়। থাইল্যান্ডে রানি সিরিকিটের জন্মদিনে আগস্ট মাসে পালন করা হয় মা দিবস। তবে আমাদের দেশসহ অধিকাংশ দেশেই মে মাসের দ্বিতীয় রোববার মা দিবস পালন করা হয়।
মায়ের জন্য সম্মান শুধুমাত্র যেন দিবসকেন্দ্রিক না হয়:
“মা” তার সন্তানদের পরম যত্নে আগলে রাখেন। পৃথিবীর সব শিশুর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ বন্ধু তার মা। হুমায়ুন আহমেদ বলেছিলেন,”মা হল পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক, যেখানে আমরা আমাদের সব দুঃখ, কষ্ট জমা রাখি এবং বিনিময়ে নিই বিনা সুদে অকৃত্রিম ভালবাসা”।
সন্তানদেরও উচিত মাকে সময় দেয়া,সকল ব্যস্ততার মাঝেও মাকে একটু সময় দেয়া,বসে কথা বলা,প্রযুক্তির যুগে আমরা সবাই অবসরে যার যার মতো সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যস্ত থাকি। অবসরে মাকে একটু সময় দিন। মা কোনো স্বার্থ ছাড়াই সারাটা জীবন সন্তানদের জন্য ত্যাগ করে দেন। মায়ের এই ঋণ কখনো শোধ করা যাবেনা। কিন্তু সময় দিয়ে আমরা আমাদের মাকে জানাতে পারি ভালবাসা। দিবস কেন্দ্রিক ভালবাসা না হয়ে আমরা যেন সারা বছর মাকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা দিতে পারি। মায়েরা ছোটবেলা থেকে পরম আদর যত্নে ভালবাসায় সন্তানদের আগলে রাখেন। শেষ বয়স পর্যন্ত মায়ের স্থানও যেন হয় সন্তানের বুকে,বৃদ্ধাশ্রমের চারদেয়ালের ভিতর নয়।
References :
1. https://www.somoynews.tv/…/%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%AD…
2. https://www.prothomalo.com/topic/%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%details
3. https://www.banglanews24.com/national/news/bd/928595.details
Content Credit :
✏️ Written by:
Efrin Anowar
General Member, CUSS
Team : Odyssey
Department:Zoology
Session: 2019-20
Poster Credit :
Shishir Dutta
Department Representative,CUSS
Department Of Soil Science
Session : 2019-20
Tag:cuss