২৬শে জুন বিশ্ব মাদকসেবন ও অবৈধ পাচার বিরোধী দিবস
মাদকসেবন এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। মাদকসেবন বলতে বোঝায়, চিকিৎসকের কোন ধরনের পরামর্শ ছাড়া নির্দিষ্ট পরিমাণেরও বেশি ড্রাগ সেবন করা। ড্রাগ নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যবহার করে আমাদের বিভিন্ন রোগের ঔষধ তৈরি করা হয়। কিন্তু মাদক সেবনকারীরা কিছু ক্ষতিকর ড্রাগ প্রচুর পরিমাণে সেবন করতে থাকে।
ড্রাগ মানুষকে শুধু আসক্ত করে না,বরং ব্রেইনের নানা সমস্যা হতে পারে এবং মানুষ নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়। ড্রাগের ভয়াবহতার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কোন ধরনের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ড্রাগ ব্যবহার ও ক্ষতিকর ড্রাগ আমদানি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরই সূত্রপাত ঘটে অবৈধ ড্রাগ পাচারের।
বিভিন্ন ক্ষতিকর ড্রাগ এখন বিশ্বজুড়ে ব্যাপক হারে ব্যবহ্ত,যেমন:ইয়াবা,ফেনসিডিল, গাঁজা, আফিম, মারিজুয়ানা,এলএসডি,ক্রিস্টাল মেথ সহ আরও অনেক। বাংলাদেশে প্রায় ২৪ রকমের ড্রাগ সেবন করা হচ্ছে।
⭕ দিবসটি কবে থেকে পালিত হচ্ছে?
১৯৮৭ সালের ৭ই ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ৪২/১১২ রেজল্যুশনের মাধ্যমে ২৬শে জুনকে বিশ্ব মাদকসেবন ও অবৈধ পাচার বিরোধী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এই দিনটি লিন জেক্সুর (Lin Zexu) স্মরণে পালন করা হয়,যিনি চীনের গুয়াংডংয়ে আফিম ব্যবসা বন্ধ করার পিছনে প্রধান ছিলেন।
⚪ বিশ্ব মাদকসেবন ও অবৈধ পাচার বিরোধী দিবস পালনের লক্ষ্য কি?
বিভিন্ন সাংগঠনিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত সহযোগিতায় পালিত এই আন্তর্জাতিক দিবস পালনের লক্ষ্য হলো সমাজে মাদকসেবনের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং মাদকমুক্ত একটি সুস্থ পৃথিবী গড়ে তোলা।
২০২৩ সালে কিভাবে দিবসটি পালিত হবে?
বিশ্ব মাদকসেবন ও অবৈধ পাচার বিরোধী দিবস ২০২৩ সালের স্লোগান : “First People: Stop Stigma, Strengthen Prevention”
মাদক সেবনকারীদের সমাজে কলঙ্ক হিসেবে দেখা হয় এবং তাদের বঞ্চিত করা হয়,ফলে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। The United Nations Office on Drugs and Crime (UNODC) মাদক সেবনকারীদের জন্য স্বেচ্ছাসেবক ভিত্তিক একটি নীতির উপর গুরুত্বারোপ করেছেন, যেখানে সহানুভূতি ও মানবাধিকারের কথা মাথায় রেখেই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
এই বছর দিবসটি পালনের লক্ষ্য মানুষের মধ্যে মাদকাসক্তদের সম্মান ও সহানুভূতির সাথে ব্যবহার,তাদের সেবা দান করা, শাস্তির বিকল্প ও মাদকসেবন প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়াদির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি। ২০২৩ সালে ক্যাম্পেইনে অন্তর্ভুক্ত কর্মসূচি গুলো হলো:
✅ মাদকাসক্ত ও তাদের পরিবারকে সমাজে বৈষম্যের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে অবগত করা।
✅ মাদকাসক্তদের এইডস এবং হেপাটাইটিস সম্পর্কে অবগত করা এবং এইডস এবং হেপাটাইটিস প্রতিরোধ কর্মসূচি আরো জোরালো করা।
✅ মাদকাসক্তদের সেবা দান করা।
✅ মাদক হতে সৃষ্ট রোগ,তার জন্য প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো।
✅ মাদক সম্পর্কিত অপরাধের বিরুদ্ধে শাস্তির বিকল্প হিসেবে সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণ করা।
✅ সুন্দর ও ভদ্র ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজ থেকে মাদকাসক্তদের প্রতি বৈষম্য দূর করা।
✅ মাদক প্রতিকারে তরুণদের ভূমিকা পালনে উদ্বুদ্ধ করা।
আমরাও আমাদের আশেপাশে মাদকাসক্তদের সহায়তা করি, যাতে তারাও পুনরায় সুখী ও সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে।
Reference:
1.https://www.un.org/en/observances/end-drug-abuse-day
2.https://www.unodc.org/unodc/en/drugs/index-new.html
3.https://www.livemint.com/news/india/international-day-of-drug-abuse-2023-history-significance-and-facts-11687684541216.html
Content Credit :
✏️ Written by:
Sadia Osman Lorin
General Member
Team: Phoenix
Institute of Marine Sciences
Session: 2018-19
Poster Credit :
Ridwan Siddique
General Member
Team : Supernova
Institute Of Marine Sciences
Session : 2019-20