আজ ৮ই মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস
#আজ_৮ই_মে__বিশ্ব_থ্যালাসেমিয়া_দিবস
প্রাণঘাতী থ্যালাসেমিয়াকে একটি ব্যধি হিসেবে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে এবং এর প্রতিরোধ বিস্তারে সহায়তা করার জন্য জনসাধারণকে শিক্ষিত করাই থ্যালাসেমিয়া দিবসের মূল উদ্দেশ্য।
থ্যালাসেমিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন (টিআইএফ) ৮ই মে কে আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস হিসাবে মনোনীত করার পরে 1994 সালে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস অস্তিত্ব লাভ করে। জর্জ এঙ্গেল- জোস এবং অন্যান্য সমস্ত থ্যালাসেমিয়া রোগী যারা এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন তাদেরকে সম্মান জানাতে দিবসটি পালিত হয়েছিল। জর্জ এঙ্গেলজোস ছিলেন টিআইএফ -র প্রতিষ্ঠাতা প্যানোস এঙ্গেলজোসের পুত্র।
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস ২০২৩-এর নির্বাচিত থিম হলোঃ – ” BE AWARE. SHARE. CARE: Enlightening Education to Bridge the Thalassaemia Care Gap”
থ্যালাসেমিয়া কী ?
⇒ থ্যালাসেমিয়া হল একটি রক্তের ব্যাধি যা শিশুরা তাদের পিতামাতার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করে। এই রোগে একজন ব্যক্তির শরীরের হিমোগ্লোবিন তৈরীর ক্ষমতা এবং লোহিত রক্তকণিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। থ্যালাসেমিয়া প্রধানত ২ প্রকার। যথা: আলফা থ্যালাসেমিয়া এবং বিটা থ্যালাসেমিয়া। এই রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে রোগের ধরন ও তীব্রতার উপর।
থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ :
সাধারণত থ্যালাসেমিয়ার ধরন আর তীব্রতার উপর লক্ষণ নির্ভর করে। কিছু কিছু শিশু জন্মগতভাবেই থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ নিয়ে জন্মায়।আবার কেউ তার জন্মের ২ বছরের মধ্যে লক্ষণ দেখানো শুরু করে ।
১. অল্পতেই শরীর অবসন্ন হয়ে যাওয়া।
২. দুর্বলতা অনুভব করা।
৩. চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া।
৪. মুখের হাড়ে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়।
৫. ইউরিনের রঙ গাঢ় হয়ে যাওয়া (লাল লোহিত কণিকা ভেঙে যাওয়ার লক্ষণ) ও চোখের রঙ হলদে হয়ে যাওয়া
৬.খাওয়াতে অরুচি দেখা দেয়।
থ্যালাসেমিয়া স্ক্রীনিং :
স্ক্রীনিং পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে প্রসবপূর্ব’ পরীক্ষা, শিশুর জন্মের আগে করা হয়। থ্যালাসেমিয়ার উপস্থিতি নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলি ব্যবহার করা হয় :-
১.কোরিওনিক ভিলাস অ্যাম্পলিং : সাধারণত গর্ভাবস্থার ১১ তম এবং 1৪ তম সপ্তাহের মধ্যে সম্পাদিত হয়। প্ল্যাসেন্টাল টিস্যুর একটি ক্ষুদ্র নমুনা আরও মূল্যায়নের জন্য সুক্ষ্ম সুই ব্যবহার করা হয়।
২.অ্যামনিওসেন্টেসিস।
প্রতিরোধ :
যদিও থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ করা যায় না, তবে শুধুমাত্র নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নবজাতকে থ্যালাসেমিয়া হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।
১. থ্যালাসেমিয়া জিনের উপস্থিতির জন্য পিতামাতার জেনেটিক পরীক্ষা
২.প্রসবপূর্ব স্ক্রীনিং
৩. প্রি-ইমপ্লান্টেশন জেনেটিক রোগ নির্ণয়।
৪. থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
থ্যালাসেমিয়ার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটঃ
বাংলাদেশে বর্তমানে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭ শতাংশ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক।প্রতিবছর প্রায় ৬ হাজার শিশু বিভিন্ন ধরনের থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে। বিজ্ঞ চিকিৎসকগণের মতে, ৫০ বছর পর আমাদের দেশের শতকরা ৫০ ভাগ লোক থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বা বাহক হবে।
Reference:
1.https://www.pacehospital.com/world-thalassemia-day.
2.https://www.business-standard.com/…/when-is-world….
3.https://www.Jagonews24.com/amp/759768
4.https://www.lybrate.com/…/world-thalassemia-day-blood…
Content Credit :
✏️ Written By :
Puja Rani Dhar
General member, cuss
Team : supernova
Department of Oceanography
Session -(20-21)
Poster Credit :
Sanjana Tabassum Nova
General Member, CUSS
Team : Eclipse
Department Of Physics
Session : 2019-20
Tag:cuss