April , 2023 পালিত হচ্ছে Global Astronomy Month হিসেবে
#Global_Astronomy_Month
April , 2023 পালিত হচ্ছে Global Astronomy Month হিসেবে।
এই উপলক্ষে পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে আমরা কিছু মজার মজার মহাকাশবিজ্ঞানের বিষিয়াবস্তু সম্পর্কে ধারণা নিবো। এরই প্রেক্ষিতে আজকে আমাদের তৃতীয় বিষয় হলো Exoplanets ।
অজানাকে জানার আগ্রহ মানুষের বরাবরই ছিল। ঠিক তেমনি সৌরজগৎ মানুষের কাছে সবসময়ই একটি কৌতূহলের বিষয়। এই কৌতূহলের খোরাক জোগাতে ছোটবেলা থেকেই আমরা সৌরজগৎ সম্পর্কে কমবেশি জেনে এসেছি বা জানার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি এই সৌরজগতের বাহিরে কি আছে? আসুন আজকে আমরা এই সৌরজগতের বাহিরে, আমাদের জানার জগতের বাহিরে অজানা কি আছে তা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
নাসার সৌরজগতের অনুসন্ধান অনুসারে মহাবিশ্ব হলো মহাকাশের একটি বিশাল বিস্তৃতি যেখানে অস্তিত্বের সমস্ত কিছু রয়েছে, মহাবিশ্বের সমস্ত গ্রহ, নক্ষত্র এবং ছায়াপথ রয়েছে। মহাবিশ্বের সঠিক আকার অজানা। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন মহাবিশ্ব এখনো বাইরের দিকে প্রসারিত হচ্ছে।
বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ আমাদের সৌরজগতের বাহিরে হাজার হাজার গ্রহের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছে। আমাদের সৌরজগতের বাহিরের যে কোন গ্রহকে বলা হয় Exoplanet.
EXOPLANET বলতে আমরা আসলে কি বুঝি?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, আমাদের সৌরজগতের বাহিরে সমস্ত গ্রহকে Exoplanet বলা হয়ে থাকে। গত দুই দশকে নাসার Kepler Space Telescope এর সাহায্যে হাজার হাজার গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। এই গ্রহগুলো বিভিন্ন আকারের এবং ভিন্ন ভিন্ন কক্ষপথের হয়ে থাকে। এই বিশাল গ্রহ গুলো তাদের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন নক্ষত্র গুলোর খুব কাছাকাছি অবস্থান করে থাকে, যাদের কিছু অতি ঠান্ডা আবার কিছু পাথুরে হয়ে থাকে ।
Exoplanet সম্পর্কে আমরা কেন জানব?
Exoplanet সম্পর্কে জানা অনেক কারণ রয়েছে কিন্তু মূল উদ্দেশ্য বা কারণ হলো আমরা জীবন ধারণ করতে সক্ষম এমন আরেকটি গ্রহ খুঁজে পেতে পারি। আমরা যদি পৃথিবীর বাইরে জীবন আবিষ্কার করতে পারি তবে এটি মানব ইতিহাসের গতিপথে পরিবর্তন করতে পারে।
EXOPLANET সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি?
আজ পর্যন্ত প্রায় 5000 Exoplanet আবিষ্কৃত হয়েছে এবং শুধুমাত্র আমাদের ছায়াপথের কোটি কোটির মধ্যে নিশ্চিত করে বিবেচিত হয়েছে। আরো হাজার হাজার “Candidate Exoplanet” রয়েছে যারা আদৌ Exoplanet কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরো পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন।
Exoplanet আবিষ্কারের ইতিকথা
Exoplanet আবিষ্কারের সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো transit method এবং wobble method ।
Direct imaging and microlensing এর মাধ্যমে বেশ কিছু exoplanet আবিষ্কৃত হয়েছে।
সর্বপ্রথম 1992 সালে Aleksander Wolszczan and Dale Frail নামের দুইজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী PSR B1 257+12 নামের dead star কে প্রদক্ষিণকারী দুটো পাথুরে গ্রহের আবিষ্কারের ঘোষণা দেন।
এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত এবং নাসা কর্তৃক নিশ্চিতকৃত Exoplanet এর সংখ্যা 5241 এবং
“Candidate Exoplanet” ও নিশ্চিতকৃত Exoplanet মিলিয়ে সর্বোপরি এই সংখ্যা দাঁড়ায় 9185 তে। নিশ্চিতকৃত এই 5241 টি Exoplanet
কে 5 টি উপপ্রকারে ভাগ করা রয়েছে, যেগুলো হলো :
1. Neptune-like (1,821),
2. Super Earth (1,625),
3. Gas Giant (1,595),
4. Terrestrial (195),
5. Unknown
বর্তমানে Exoplanet চিহ্নিত করতে পাঁচটি ভিন্ন পদ্ধতি বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করে থাকেন। এগুলো হলো: Radial Velocity, Transit Method, Direct Imaging, Gravitational Microlensing এবং Astrometry।
Exoplanet সম্পর্কিত যাবতীয় সমস্যাবলী
Exoplanet সম্পর্কে গবেষণার একটি মূল কারণ হলো জীবনের অস্তিত্ব খুঁজা, পৃথিবীর বিকল্প কি আদৌ সম্ভব কি না, পৃথিবীর বাইরে কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া সম্ভব কি না তা খুঁজে বের করা। কিন্তু এই গবেষণা কি কোনোভাবে আমাদের জন্যই হুমকিস্বরপ হয়ে দাঁড়াতে পারে? চলুন জেনে নিই Exoplanet সম্পর্কিত যাবতীয় সকল সমস্যা ও হুমকি।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা Exoplanet গুলোকে সরাসরি চিত্রিত করার চেষ্টা করার ক্ষেত্রে যে প্রধান সমস্যাটির মুখোমুখি হোন তা হলো তারা যে নক্ষত্রগুলোকে প্রদক্ষিণ করে তারা তাদের গ্রহের চেয়ে লক্ষ লক্ষ গুণ বেশি উজ্জ্বল। গ্রহ থেকে প্রতিফলিত কোনো আলো বা গ্রহ থেকে তাপ বিকিরণ তার host নক্ষত্র থেকে আসা বিপুল পরিমাণ বিকিরণ দ্বারা নিমজ্জিত হয়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এমন একটি Exoplanet সম্পর্কে অবগত করেছেন যার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হিসেবে তারা বিবেচনা করছেন। Kepler-1658b, নামের একটি Exoplanet, যেটি 2019 সালে চিহ্নিত করা হয়েছিল, যাকে ” Hot Jupiter” হিসেবে বিবেচনা করা হয় , অর্থাৎ এটি আকারে Jupiter মতো হলেও তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি। Kepler-1658b তার বৃদ্ধ নক্ষত্র টিকে এর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে প্রতি 3.85 দিনে। কিন্তু এর কক্ষপথটি ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে , যার ফলে গ্রহটি ক্রমবর্ধমান ভাবে তার নক্ষত্রের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে।
আবার কোন Exoplanet তার Orbit থেকে বের হয়ে আসলে সেটি একটি Rougue Planet এ পরিণত হয় যেটি পৃথিবীর জন্য হুমকিস্বরুপ ও হতে পারে।
Exoplanet কি আমাদের জন্য বসবাসযোগ্য? আমরা জানি জীবনের প্রতিটি রূপের জন্য অর্থাৎ জীবনধারণের জন্য পানি প্রয়োজন হয়। যার অস্তিত্ব এখন পর্যন্ত Exoplanet এ পাওয়া যায় নি। এছাড়া, Exoplanet তার host নক্ষত্রের খুব কাছে অবস্থান করার কারণে এখানে জীবন ধারণের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
তাছাড়া কিছু প্রয়োজনীয় prebiotic molecules গঠনের জন্য ultraviolet light এর প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু একটি অতি সক্রিয় host নক্ষত্র তার কাছাকাছি অবস্থিত Exoplanet কে বিস্ফোরিত করতে পারে এবং এর বায়ুমন্ডলকেও দূরে সরিয়ে দিতে পারে।
????References :
1.https://www.nationalgeographic.com/sci…/article/exoplanets
2.https://exoplanets.nasa.gov/what-is-an-exoplanet/overview/
3.https://news.harvard.edu/…/exoplanet-spiraling-toward…/
4.https://www.cnn.com/…/doomed-exoplanet-aging…/index.html
5.https://exoplanets.nasa.gov/…/observing-exoplanets…/
Content Credit :
Written By :
Mohibunnasa Mony
General Member, CUSS
Team : Phoenix
Department Of Physics
Session : 2019-20
Poster Credit :
Abidul Moula Khan
IT Executive, CUSS
Department Of Physics
Session : 2019-20
Tag:cuss