‘He is only greatest! I am nobody to reach his Highness’
✨আমাদের একজন জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন!
‘He is only greatest! I am nobody to reach his Highness’. বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. জামাল নজরুল ইসলাম সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে স্টিফেন হকিং কথাটি বলেছেন।
বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের মধ্যে মৌলিক বিজ্ঞানে তাঁর মতো অবদান আর কারও নেই। তেমনি বিশ্ব বিজ্ঞানের সারস্বত সমাজে তাঁর মতো সমাদর ও খ্যাতিও কারও ছিল না। এই বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলামের মৃত্যু আজকের দিনে। ২০১৩ সালের ১৬ই মার্চ ৭৪ বছর বয়সে চট্রগ্রামে এই বিশ্বনন্দিত ব্যক্তি আমাদের ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান।
আজকের এই দিনে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাইন্টিফিক সোসাইটি বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলামকে স্মরণ করছে ও তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে।
১৯৩৯ সালের ২৪ই ফেব্রুয়ারী ঝিনাইদহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এই মহান ব্যক্তিত্ব। জামাল নজরুল ইসলামের স্কুলজীবন শুরু হয় কলকাতায়, সেখান থেকে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে কিছুদিন, শেষে পাকিস্তানের লরেন্স কলেজ থেকে সিনিয়র কেমব্রিজ পাস করেন। বিএসসি সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে। এরপর বৃত্তি নিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতে ট্রাইপজে তিন বছরের কোর্স দুই বছরে শেষ করেন। ১৯৬০ সালে কেমব্রিজ থেকেই মাস্টার্স। ১৯৬৪ সালে এখান থেকেই প্রায়োগিক গণিত ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ড. ইসলাম অত্যন্ত দুর্লভ ও সম্মানজনক ডক্টর অব সায়েন্স বা ডিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। ছাত্রজীবনে তাঁর সমসাময়িক ও আজীবনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং।
জামাল নজরুল ইসলাম ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরাল ফেলো ছিলেন। তিনি ১৯৬৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত কেমব্রিজ ইনস্টিটিউট অব থিওরেটিক্যাল অ্যাস্ট্রোনমিতে গবেষণা করেছেন। ১৯৭১-৭২ দুই বছর ক্যালটেক বা ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ভিজিটিং অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ১৯৭৩-৭৪ সালে লন্ডনের কিংস কলেজে ফলিত গণিতের শিক্ষক, ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়েন্স রিসার্চ ফেলো এবং ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত লন্ডনের সিটি ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করেছেন।
২০০১ সালে যখন পৃথিবী ধ্বংস হবার একটা গুজব উঠেছিলো তখন জামাল নজরুল ইসলাম অংক কষে বলে ছিলেন “পৃথিবী তার কক্ষপথ থেকে ছুটে চলে যাবার কোনো সম্ভাবনা নেই।”
স্টিফেন হকিং কে চিনে না এমন মানুষ খুব কম আছে।উনার লেখা “আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম” বইটি এক কোটি কপিরও বেশী বিক্রি হয়েছে সারাবিশ্বে । সে বইটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। কিন্তু এই বইটি প্রকাশের প্রায় ৫ বছর আগেই ১৯৮৩ সালে জামাল নজরুল ইসলাম “দ্যা আল্টিমেট ফেইট অব দ্য ইউনিভার্স” বইটি লিখেছিলেন। দুটো বই-ই প্রায় একই সব টপিকের উপর লিখা। ব্লাকহোল, ওয়ার্ম হোল, সুপারনোভা, কসমিক রেডিয়েশন, প্যারালাল ইউনিভার্স, বাটারফ্লাই ইফেক্ট ইত্যাদি সব জোতিপদার্থর্বিজ্ঞানীয় ব্যাপারগুলোই ঘুরেফিরে দুটো বইতেই উঠে এসেছে। কিন্তু তুলনামূলক বিচারে জামাল নজরুল ইসলামের বইটিকেই বিশ্বখ্যাত বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগন অধিক মূল্যায়ন করেছেন,যেটি প্রকাশিত হয়েছিলো হকিং এর বইয়ের’ও প্রায় ৫ বছর পূর্বে!
অথচ হকিং এর বই নিয়ে যতটা না মাতামাতি সারাবিশ্বে হয়েছে, তার ছিঁটেফোঁটাও হয়নি জামাল নজরুল ইসলামের কোনো বই নিয়ে।
✨বলা হয়ে থাকে বিশ্বের ৭ জন শ্রেষ্ট বিজ্ঞানীর নাম বলতে গেলে সে তালিকায় নাকি জামাল নজরুলের নাম’ও চলে আসবে!
“সায়েন্স ওয়ার্ল্ড” নামে একটি বিজ্ঞান ম্যাগাজিন ২০০৭ সালে জামাল নজরুল ইসলামকে নিয়ে একটি ফিচার ছাপিয়েছিল। বাংলাদেশের কোনো ম্যাগাজিনে উনাকে নিয়ে লেখা এটিই ছিলো প্রথম ও শেষ ফিচার।
➡️ জামাল নজরুল ইসলাম বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে উল্লেখযোগ্য বই লিখেছেন ৬টি।এদের মাঝে ৩টি বই বিশ্ববিখ্যাত। ক্যামব্রিজ ও হার্ভার্ড সহ বেশ কয়েকটি নামি-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বই পাঠ্য হিসেবে পড়ানো হয়। তার লেখা বই ‘দ্য আল্টিমেট ফেইট অব দ্য ইউনিভার্স’ ফরাসি, জাপানী, পর্তুগিজ, ইতালিয়ান সহ বেশ কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এরপর তার উল্লেখযোগ্য বইগুলো হচ্ছে Rotating Fields in General Relativity এবং An Introduction To Mathematical Cosmology.
তিনি বাংলায় উল্লেখযোগ্য বই লিখেছেন ‘কৃষনবিবর’ ‘মাতৃভাষা ও বিজ্ঞান চর্চা’ ‘অন্যান্য প্রবন্ধ’ , ‘শিল্প সাহিত্য ও সমাজ’।
১৯৮৪ সালে প্রফেসর ইসলাম তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন। পশ্চিমের উন্নত দেশে ৩০ বছরের অভ্যস্ত জীবন, সম্মানজনক পদ, গবেষণার অনুকূল পরিবেশ, বিশ্বমানের গুণীজন সাহচর্য এবং আর্থিকভাবে লোভনীয় চাকরি ছেড়ে দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে দেশে ফিরে এলেন। এলেন একেবারে নিজ জেলা চট্টগ্রামে। অতি দামি চাকরি ছেড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে যোগ দিলেন মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে। এই বেতনেই তিনি অধ্যাপনা করে যান।
✨দেশের জন্য, দেশের বিজ্ঞানচর্চার জন্য তিনি যে পরিমাণ আন্তরিকতা দেখিয়েছেন, তা সত্যিই অনন্য। নিভৃতচারী ও প্রচারবিমুখ এই গুণী বিজ্ঞানী ২০১৩ সালে ৭৪ বছর বয়সে পরলোকগত হন।
#cuss
#Jamal_Nazrul_Islam
????References :
1.https://www.bigganchinta.com/physics/kfe60zlpmz
2.https://www.prothomalo.com/…/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6…
3.https://www.bd-journal.com/other/164243/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%
4.https://www.goodreads.com/…/1159566.Jamal_Nazrul_Islam
5.https://www.google.com/search…
✒️Content Credit :
✏️ Written By:
M Aziz Pappu
General Member
Department of Zoology
Session : 2020-21
Poster Credit :
Raisa Nuzhat
Assistant IT Secretary
Computer Science and Engineering
Session :2019-20
Chittagong University Scientific Society