Death of Johannes Kepler
জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে যারা গবেষণা করেন কিংবা জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে যারা খবরাখবর রাখেন তাদের কাছে জোহানেস কেপলার একটি পরিচিত নাম। জোহানেস কেপলার ছিলেন একজন জার্মান জ্যোতিষী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ। চলুন তার সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক।
জন্ম ও জন্মস্থান :
জোহানেস কেপলার ১৫৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৭ ডিসেম্বর দক্ষিণ -পশ্চিম জার্মানির ওয়েল নামক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ বছর বয়সেই তিনি বাবাকে হারান। তার বাবা হায়েনরিখ কেপলার সৈনিক হিসেবে যুদ্ধে মারা যান। এরপর থেকেই কেপলার তার দাদুর আশ্রয়ে তার মায়ের সাথে থাকতে শুরু করেন।
শিক্ষাজীবন :
দাদুর আশ্রয়ে থেকেও কেপলার লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা সম্পন্ন করে ১৩ বছর বয়সে ভর্তি হন অন্ডেবুর্গের প্রোটেস্ট্যান্ট সেমিনারিতে। সেখান থেকে মাধ্যমিক শেষ করেন।এরপর ১৫৮৯ সাথে বৃত্তি পেয়ে ভর্তি হন টুবিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তিনি ধর্মতত্ত্ব, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও গণিতে জ্ঞানার্জন করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন অধ্যাপক মায়েস্টলিনের সান্নিধ্যে আসেন যিনি কোপার্নিকাসে সূর্যকেন্দ্রিক বিশ্বতত্ত্বকে সমর্থন করেন।তার সান্নিধ্যেই কেপলার গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান পড়ায় অনুপ্রাণিত হন।১৫৯১ সালে টুবিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেপলার এম. এ পাশ করেন।
কর্মজীবন ও অবদান :
শিক্ষাজীবন শেষে ১৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে গণিতের অধ্যাপক হিসেবে গ্রাৎস বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ভগ্ন স্বাস্থ্য ও অর্থকষ্টে জীবনযাপন করলেও জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণা থেমে থাকেনি। তিনি প্রাগের মান মন্দিরে বিখ্যাত টাইকোব্রাহের সহকারী হন।টাইকোব্রাহের মৃত্যুর পর প্রাগ মান মন্দিরে অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত হন এবং কিছুদিনের মধ্যেই জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে সুখ্যাতি লাভ করেন।
১৫৯৭ খ্রিস্টাব্দে ‘ মিস্টিরিয়াম কসমোগ্রাফিক্স’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন।
তিনি গ্রহগত্রি সম্পর্কে তার যুগান্তকারী তত্ত্ব দেন যা ” লজ অফ প্লানেটারি মোশন” নামে পরিচিত। কেপলারের বিখ্যাত গ্রন্থের নাম “নিউ এস্ট্রোনমি”।
মৃত্যুঃ সারাদিন তিনি কাজে এতই ব্যস্ত থাকতেন যে শারীরিক অবস্থার দিকে নজর দেয়ার সময় ছিল না। তাই অল্প বয়সেই তার স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়েছিল। ফলশ্রুতিতে ১৬৩০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই নভেম্বর আটান্ন বছর বয়সেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
References :
1.https://www.scientificbd.com/2021/12/johannes-kepler-life-and-works.html?m=1
2.https://www.meteorologiaenred.com/bn/%e0%a6%9c%e0%a7%8b%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b8-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%aa%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b0.html
Content Credit :
✏️ Written By :
Md. Faisal
General Member,CUSS
Team : Pterosaurs
Institute Of Marine Sciences
Session : 2018-19
Poster Credit :
Raisa Nuzhat
IT Executive, CUSS
Department Of Computer Science and Engineering
Session : 2019-20