• Home
  • About Us
  • Events
  • Committee Members
    • Members
      • Advisor Panel
      • Co-Founder
      • Founding Members
      • General Members
    • Executive
      • Executive Members 2023-24
      • Executive Members 2022-23
      • Executive Members 2021-22
      • Executive Members 2020-21
  • Content and Publication
    • Articles
    • Achievement
    • Blog
    • Collaboration
    • Circular
    • Career
  • Activities and Gallery
RegisterLogin
CUSS
  • Home
  • About Us
  • Events
  • Committee Members
    • Members
      • Advisor Panel
      • Co-Founder
      • Founding Members
      • General Members
    • Executive
      • Executive Members 2023-24
      • Executive Members 2022-23
      • Executive Members 2021-22
      • Executive Members 2020-21
  • Content and Publication
    • Articles
    • Achievement
    • Blog
    • Collaboration
    • Circular
    • Career
  • Activities and Gallery

articles

Home » Blog » সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখা আমাদেরই দায়িত্ব

সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখা আমাদেরই দায়িত্ব

  • Categories articles
  • Date February 14, 2023
  • Comments 0 comment
#সুন্দরবন_বিশ্বের_বৃহত্তম_নিরবচ্ছিন্ন_জোয়ার_ভাটার_ম্যানগ্রোভ_বনভূমি। এর আয়তন প্রায় ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার যেখানে সমগ্র সুন্দরবনের প্রায় ৬,০১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ ভূখণ্ডে অবস্থিত, যার মধ্যে প্রায় ৬৯% ভূমি এবং ৩১% জলমগ্ন এলাকা। বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্যের জন্য এটি একটি অনন্য বন এবং এটি প্রায়শই উজানের জলপ্রবাহ, লবণাক্ত সামুদ্রিক স্রোতধারা এবং কর্দমাক্ত চর দ্বারা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। সুন্দরী এই ম্যানগ্রোভের প্রধান উদ্ভিদ এবং অনেকে মনে করেন যে ‘সুন্দরবন’ নামটি তাই আক্ষরিক অর্থেই এসেছে। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সু বিস্তৃত এ বনভূমির সিংহভাগ বাংলাদেশ অঞ্চল জুড়ে হওয়ায় এ জনপদে সুন্দরবনের গুরুত্ব ও ভূমিকা অতুলনীয়।
?সুন্দরবনের বিস্তৃত প্রান্ত জুড়ে রয়েছে অনেক পর্যটন কেন্দ্র, যা ভ্রমণপিপাসুদের বাঁধা-ধরা ক্লান্তি ও একঘেয়েমি কাটাতে বিকল্পহীন। বিশেষ করে বলেশ্বর, বল নদী, শিবসা, মরজাত প্রভৃতি ছোট ছোট নদীর মাঝ দিয়ে যখন লঞ্চে চেপে যাওয়া হয়, দুপাশে বনভূমির শান্ত স্নিগ্ধতা সত্যিই মনকে ভালো করে দেয়। দূর থেকে গোলপাতা গাছের সারি, আর বনের ‘প্রাকৃতিক মালী’ (Natural Trimmer) হরিণের বদৌলতে গরান, বাইন গাছের এত নিখুঁত ট্রিমিংকৃত (ছাঁটাই করা) অবাক করার মতো সৌন্দর্য যে কাউকেই সুন্দরবনের প্রেমে টানতে যথেষ্ট! দিগন্ত বিস্তৃত সুন্দরবনের কোথাও কোনো মানুষের বা যন্ত্রের সংস্পর্শ ছাড়াই তৃণভোজী প্রাণী হরিণের কেবল পাতা ছিড়ে খাওয়ার ফলে গাছগুলো যেভাবে সাজানো, গোছানো, ছাটাইকৃত দেখা যায় এবং এদের মলমূত্র মাটিতে মিশে বনের গাছের পুষ্টি চাহিদা মিটায় তাতে ‘সুন্দরবনের মালী’ (Natural Trimmer) হিসেবে হরিণকে যথার্থই বলা যায়। ছোট-বড় খালের পাড়ে প্রায় রোদ পোহাতে কিংবা শিকারের অপেক্ষায় দেখা যায় কুমিরের। আর গাছের ডালে ডালে ঘুরে বেড়াতে উঁকি দেয় বানরের দল। পৃথিবীর অন্যান্য ম্যানগ্রোভ বনের তুলনায় এই বনের উদ্ভিদ প্রজাতি বেশ বৈচিত্র‍্যময়। কেননা এই বনের বুক চিরে কেবল নোনা পানি নয়, ক্ষেত্রবিশেষে বয়ে যায় স্বাদুপানিও। সুন্দরবনে যত পশ্চিমে যাওয়া যায় লবনাক্ততার মাত্রা ততই বাড়তে থাকে পূর্বাঞ্চলের তুলনায়। এই বনের পূর্বভাগের অভয়ারণ্যে দেখা যায় বেশি বৈচিত্র‍্য; সুন্দরী, গেওয়া, পশুর, কেওড়া, আমুর, গোলপাতা সহ নানা রকমের উদ্ভিদ পরিলক্ষিত হয়। আর পশ্চিমভাগের অভয়ারণ্যে দেখা যায় গেওয়া, গরান, হেন্তাল এবং দক্ষিণের অভয়ারণ্যে বেশি দেখা যায় গেওয়াগাছ। সুন্দরবনে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ৩৩৪ রকমের উদ্ভিদ (সর্বশেষ জরিপ অনুসারে)।
?পর্যটন স্থান সমূহের মাঝে কচিখালী, জামতলা বীচ, কটকা, দোবেকী, কলাগাছিয়া, হাড়বাড়িয়া, নীলকমল, করমজল ও সুটকী মাছের জন্য প্রসিদ্ধ দুবলার চল নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত বেশ জমে উঠে। ভ্রমনপ্রেমী মানুষরা নির্জন বনের মাঝ দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা মেলে চিত্রা হরিণ, বন্য শুকর, বানরসহ বেশ কিছু পাখির। বনের নীরবতা ভেঙে জামতলা বীচে যেতেই নদী আর বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের মিতালী পর্যটকদের জন্য যথেষ্ট প্রশান্তির খোরাক যোগায়। তবে সাগরপাড়ে পড়ে থাকা অপচনশীল ময়লার স্তূপ দেখে সচেতন ভ্রমণপ্রমীদের মনে একটু হলেও বিষাদের ছাপ পড়ে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা ফিল্ড ট্রীপে গিয়ে দায়িত্ববোধের সচেতনতা থেকে সাগরপাড়ে পড়ে থাকা অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ (বীচ ক্লিনিং), পৃথককরণ ও তার মান নিরূপণ করে। এতে দেখা যায় ১৫০ বর্গমিটার জায়গা থেকে ৬ রকমের (প্লাস্টিক বোতল, কাচের বোতল, জুতা, প্লাস্টিকের প্যাকেট, জালের ছেঁড়া টুকরো প্রভৃতি) প্রায় ২৬ কেজি বর্জ্য সংগ্রহীত হয়। অপচনশীল এসব বর্জ্যের প্রায় সবই সমুদ্র থেকে আসা। সমুদ্রের বিশালতা ও দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যে আমরা যেমন মুগ্ধ হই, তেমনি এর বর্জ্যে সয়লাব সাগরপাড়ের দূষণ রূপ নিঃসন্দেহে ভাবায় সচেতন পর্যটকদের। প্রতিনিয়ত বাড়ছে সাগরে দূষণের মাত্রা। আর এই দূষণের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়ছে সামুদ্রিক প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বঙ্গোপসাগরের সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড সুন্দরবনের নিকটবর্তী হওয়ায় এখানে প্রায়ই দেখা যায় ডলফিনের দল বেঁধে ছুটে চলা। তবে প্রায়শই জালের ছেঁড়া টুকরোয় আটকা পড়ে ও অসাধু জেলেদের জালে ডলফিন মারা পড়ার ঘটনা ঘটছে। আর সাগরপাড়ে আছড়ে পড়া এসব বর্জ্য বন্যপ্রাণীদের খাদ্য শৃঙ্খলে বিভিন্নভাবে মিশে যাচ্ছে।
?সুন্দরবন শুধু জল-স্থলভাগ কিংবা জীববৈচিত্র্যেই নয়, এটি মৎস্য সম্পদেরও তাৎপর্যপূর্ণ এক আধার। বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মাছে সমৃদ্ধ বনের বিভিন্ন খাল, নদী গুলো। সে কারণে সুন্দরবনের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ইন্ট্রিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিংয়ের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। তবে কোনো কোনো সময় প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে তা মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৩ মাস সময় বৃদ্ধি করে বন বিভাগ। এ সময় সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকে। সুন্দরবনে প্রবেশে সব ধরনের পাস-পারমিট ও নৌ-চলাচলও বন্ধ করা হয় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন। এই ৩ মাস পুরো সুন্দরবন থাকে জেলে ও পর্যটক শূন্য। ৩ মাস সব ধরনের মাছ আহরণ বন্ধের পাশাপশি সুন্দরবনে পর্যটকসহ বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় ২১০ প্রজাতির মাছ ও ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর প্রজনন ও বংশ বিস্তারের জন্য উপযোগী বলে ধারণা বন বিভাগ ও বিশেষজ্ঞদের।
? বন বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে সুন্দরবনে বন সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া বর্তমান চ্যালেঞ্জ সমূহের মাঝে রয়েছে বনের ভিতর খালগুলোতে বিষ ছিটিয়ে মাছ ধরা, অপর্যাপ্ত জনবল, পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবে অবৈধ গাছ কাটা, বন্যপ্রাণী (হরিন) শিকার, পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের অত্যধিক চাপ ও অসতর্কতামূলক আচরণ, যত্রতত্র ময়লা ফেলা প্রভৃতি।বন বিভাগের তদারকির মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কয়েক বছর আগে শুরু হওয়া ‘স্মার্ট পেট্রোলিং’ এর মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ও উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে টহল কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা হয়েছে, এতে অপরাধে দমন কাজ সহজতর হচ্ছে। স্মার্ট পেট্রোলিং টিমে ৬-৮ জন সদস্য থাকে, যাদের ২ জন সশস্ত্র সদস্যও থাকেন। প্রতি পেট্রোল টিম ১২-১৪ দিন বনে ও খালে টহল দেয়।
? সুন্দরবন যে বাংলাদেশের জন্য কতবড় এক আশীর্বাদ তা কেবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রতীয়মান হয়।
? প্রাকৃতিক দূর্যোগের লীলাভূমি বাংলাদেশ। ভৌগলিক অবস্থান ও মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাবে প্রতিবছর বাংলাদেশে হানা দেয় নানা ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেখানে সুন্দরবন আমাদের প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ।
? যুগ যুগ ধরে মায়ের মতো পরম মমতায় বাংলাদেশকে আগলে রেখেছে সুন্দরবন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বনাঞ্চলের উপর দিয়ে দুই ধরণের ধাক্কা যায়; প্রথমে ক্ষিপ্র গতির বাতাস এবং পরে জলোচ্ছ্বাস। ঘূর্ণিঝড়ের বাতাস সুন্দরবনে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে অপেক্ষাকৃত কম গতি নিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে পৌছায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বনে যে ঘূর্নিঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার থাকে সেটা বন পার হয়ে যেতে যেতে দমকা বাতাসে রুপ নেয়।অন্যদিকে, জলোচ্ছ্বাস লোকালয়ে পৌছানোর আগে সুন্দরবনে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ঢেউয়ের উচ্চতা অনেক হ্রাস পায়।যার ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমে যায়। প্রতিবার ঘূর্নিঝড় সহ প্রাকৃতিক নানা বিপর্যয়ের হাত থেকে যেভাবে আমাদের দেশকে রক্ষা করছে, তার আর্থিক মূল্যায়ন করলে প্রতিবার কয়েক বিলিয়ন ডলারে গিয়ে হয়ত ঠেকবে। ইতিহাসের কালাপাহাড়ের মতো আগলে রাখা এ বন উপকূল রক্ষায় ঢাল হিসেবে কাজ করেছে। নিজে ক্ষতবিক্ষত হয়ে রক্ষা করেছে উপকূলবাসীকে, দিয়েছে নানারকম সবুজ বৃক্ষের মজবুত বেষ্টনী (গ্রিন বেল্ট)।
?কিন্তু আমাদেরই অসচেতনতার কারণে আজ সুন্দরবনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। বেপরোয়া পশু শিকার এবং গাছ কাটার ফলে সুন্দরবন তার জীববৈচিত্র্য হারিয়ে ফেলতে বসেছে।
? সুন্দরবন গোটা বাংলাদেশকে যেভাবে বাঁচিয়ে রেখেছে নানাভাবে, তাই নিজেদের স্বার্থে সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখা আমাদেরই দায়িত্ব।

#sundarban_day
#cuss
#chittagong_University_scientific_society
✒️Content Credit :
✏️Written By:
Minhazur Rahman Shihab
President
Chittagong University Scientific Society
Poster credit :
Abdul Muhaimen Jamil Washi
General Secretary
Chittagong University Scientific Society

Tag:#SAVE_SUNDARBAN

  • Share:
author avatar
Sourav Talukdar

Previous post

"SUNDARBAN DAY"
February 14, 2023

Next post

সায়েন্স কার্নিভালে জেনারেল পার্টিসিপেন্ট হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ
February 17, 2023

You may also like

FB_IMG_1679812148688
২৬ শে মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস
26 March, 2023
337300321_223456190180013_6169836846585339194_n
আজ ২১ মার্চ আন্তর্জাতিক বন_দিবস
21 March, 2023
336569573_1242592963014027_2226079050138893745_n
আজ ১৮ই মার্চ বিশ্বব্যাপী পুুনর্ব্যবহার দিবস
18 March, 2023

Leave A Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Add a new post
Edit Your Post

Categories

  • Achievement (4)
  • articles (44)
  • AstroFacts (2)
  • Blog (32)
  • career (1)
  • Carnival (12)
  • circular (22)
  • Collaborations (2)
  • Learning (4)
  • News Paper Publication (1)
  • Scholarship & Higher Study (3)
  • Seminar (2)
  • Uncategorized (5)
  • Video (3)
  • অজানা বিজ্ঞান (5)

Our Story

Our Story

It is a long established fact that a reade.

0 +
Volunteers
0
Cities
0 +
Program Hosted
0 +
Blog Posts
About More

Contact Info

For more info Contact with us

Phone

+880 1521 527 569

E-mail

cuss.cu.bd@gmail.com

Address

Chittagong University Scientific Society, Faculty of Science,
University of Chittagong, Chittagong, Bangladesh
Facebook-f Instagram Google-plus-g Linkedin-in

Send a message

Your email address will not be published. Required fields are marked.

    Privacy Policy

    Chittagong University Scientific Society

    All rights reserved | CUSS

    • Terms
    • Sitemap
    • privacy
    • FAQ

    Login with your site account

    Continue with Facebook
    Continue with Google
    Lost your password?

    Not a member yet? Register now

    Register a new account

    Continue with Facebook
    Continue with Google

    Are you a member? Login now