World Fisheries Day
2️⃣1️⃣ আজ ২১ শে নভেম্বর বিশ্ব মৎস্য দিবস।প্রাকৃতিক জলাশয় তথা জলজ সম্পদের সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ও মানসম্পন্ন জীবনের জন্য খাদ্য হিসাবে মাছ এর ভূমিকা জানার উদ্দেশ্য নিয়েই বিশ্ব মৎস্য দিবস পালিত হয় ।
প্রতি বছর ২১ শে নভেম্বর বিশ্ব মৎস্য দিবস পালন করা হয়। অতিরিক্ত ও অযাচিতভাবে মাছ ধরা,মাছের আবাসস্থল ধ্বংস, মাছ ধরার অপ্রতুল পদ্ধতি এবং মিষ্টি জল ও সামুদ্রিক সম্পদের ক্ষতির মতো মৎস্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিশ্ব মৎস্য দিবস উদযাপিত হয়। মুখ্যত এই দিন পালনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর জলজ বাস্তুতন্ত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান ও নদীমাতৃক দেশ। এদেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজ ও মৎস্য চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
মাছ বাঙালি জাতির সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অংশ।পৃথিবীতে দেশের সংখ্যা ১৯৭+ দেশ হলেও ইলিশ রপ্তানিতে পুরো বিশ্বে বাংলাদেশ ১ম। সারা বিশ্বে উৎপাদিত মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশই বাংলাদেশে উৎপাদন হচ্ছে। তাছাড়াও তেলাপিয়া উৎপাদনে বাংলাদেশ ৪র্থ এবং মিঠা পানির মাছ রপ্তানিতে পুরো পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩য়! মাছ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধিতেও বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে বিশ্বে ৩য় এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম অবস্থান বাংলাদেশের।
দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যবিমোচন ও রপ্তানি আয়ে মৎস্য খাতের অবদান আজ সর্বজনস্বীকৃত। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান ৩.৫০ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে ২৫.৭২ শতাংশ। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যে প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে মাছ থেকে। দেশের প্রায় ১৪ লাখ নারীসহ মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও বেশি অর্থাৎ প্রায় ২ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছে। বর্তমানে দেশের মানুষ গড়ে জনপ্রতি প্রতিদিন ৬০ গ্রাম চাহিদার বিপরীতে ৬২.৫৮ গ্রাম মাছ গ্রহণ করছে।
মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার স্থানীয় পর্যায় হতে জাতীয় পর্যায়ে নানা উদ্যোগ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। মৎস্য চাষে প্রশিক্ষণ, মৎস্য উৎপাদন প্রবৃদ্ধিতে ও বিস্তর গবেষণার জন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মৎস্যবিদ্যা সহ সমুদ্রবিদ্যা বিষয়ক বিভিন্ন বিভাগ চালু রয়েছে। আমাদের মাছের মোট উৎপাদনের শতকরা ১৬ ভাগ (৬.৫৯ লাখ মেট্রিক টন) সামুদ্রিক মাছের অবদান। আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিমি.এলাকায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সমুদ্রে স্থায়ীত্বশীল মৎস্য আহরণের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রতি বছর গবেষণার মাধ্যমে উন্নত মৎস্য চাষ পদ্ধতি ও হ্যাচারি তে দক্ষ জনবল প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রকৃত মৎস্যজীবী/জেলেদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ হতে ইতোমধ্যে ১৬ লাখ ২০ হাজার মৎস্যজীবী/জেলেদের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে এবং ১৪ লাখ ২০ হাজার জেলের মাঝে পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে উৎপাদিত মোট মাছের পরিমাণ প্রায় ৪৩.৮৪ লাখ মেট্রিক টন।
মৎস্য আমাদের জীবনের সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত একটি জীব। বাঙালির সাথে মাছের সম্পর্ক সেই প্রাচীনকাল থেকেই বিদ্যমান। তাই তো বলা হয় মাছে ভাতে বাঙালি।
সকলকে মৎস্য দিবসের শুভেচ্ছা
References :
1.https://www.somoynews.tv/pages/details/41916
2.https://bengali.krishijagran.com/animal-husbandry/today-21st-november-world-fisheries-day-the-role-of-fish-as-an-important-effective-food-for-quality-of-life/
3.https://kholabarta24.com/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AE%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%B0%E0%A6%98%E0%A6%BE%E0%A6%9F/
4.https://bsmrau.edu.bd/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A7%8E/
Content Credit :
✏️ Written By :
Rifat Munshi
General Member,CUSS
Team : Odyssey
Department Of Fisheries
Session : 2020-21
Poster Credit :
Tanvirul Islam Tusher
General Mamber, CUSS
Team : Eclipse
Institute Of Marine Sciences
Session : 2020-21