“World Gibbon Day” বা “বিশ্ব উল্লুক দিবস”
“World Gibbon Day” বা “বিশ্ব উল্লুক দিবস”
2️⃣4️⃣প্রতি বছর ২৪শে অক্টোবর পালিত হয় “বিশ্ব উল্লুক দিবস”। ক্রান্তীয় বনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রাইমেটদের মধ্যে উল্লুক সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানা, বনের বাস্তুতন্ত্রে উল্লুকের গুরুত্ব, এই প্রজাতিকে রক্ষা এবং সংরক্ষণের প্রচেষ্টার লক্ষ্যে প্রতিবছর ” বিশ্ব উল্লুক দিবস” পালিত হয়।
উল্লুকের পরিচিতি:
এদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ হতে ৯০ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৬ হতে ৯ কেজি। পুরুষ উল্লুক আর মেয়ে উল্লুক আকারে প্রায় একই সমান হলেও এদের গাত্রবর্ণের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। পুরুষদের গায়ের রং কালো কিন্তু দর্শনীয় সাদা ভ্রু রয়েছে। অন্যদিকে মেয়ে উল্লুকের সারা গায়ে আছে ধূসর-বাদামী লোম। গলা ও ঘাড়ের কাছে লোমগুলো আরো বেশি কালো। এছাড়া মেয়ে উল্লুকের চোখ ও মুখের চারপাশে গোল হয়ে সাদা লোমে আবৃত থাকে যা অনেকটা মুখোশের মতো দেখায়।
প্রায় ছয়/সাত মাসের গর্ভাবস্থা শেষে শিশু উল্লুকের জন্ম হয়। জন্মের সময় এদের গায়ে ঘোলাটে সাদা লোম থাকে। ছয় মাস পর তা লিঙ্গ অনুসারে কালো বা বাদামি ধূসর রং ধারণ করে। জন্মের ৮ থেকে ৯ বছর পর একটি উল্লুক প্রাপ্তবয়স্ক হয়। উল্লুকের আয়ুষ্কাল ২৫ বছর।
উল্লুকের আবাসভূমি:
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব (বৃহত্তর সিলেট) ও দক্ষিণ-পূর্ব (চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম) এলাকার বন ছাড়াও ভারত (উত্তর-পূর্বাংশ), মিয়ানমার (পশ্চিমাংশ) এবং চীনেও (দক্ষিণাংশে) উল্লুক দেখা যায়। তবে অধুনা বাংলাদেশের সিলেটের একমাত্র মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার লাউয়াছড়ার বনেই রয়েছে বিপন্ন প্রজাতির উল্লুক Hoolock Gibbon.
মানুষের সঙ্গে এই প্রাণীগুলোর জীবনযাপনের ধরনে বেশ মিল রয়েছে। এরাও পরিবার গঠন করে থাকতে পছন্দ করে। প্রতিটি পরিবার বা দল নির্দিষ্ট একটি এলাকার মধ্যে অবস্থান করে। এরা একবার কারো সঙ্গে জুটি তৈরি করলে আজীবন তার সঙ্গেই থেকে যায়।
❇️খাদ্যাভ্যাসঃ
এদের খাদ্য তালিকায় ৫১ শতাংশ পাকা ফল, ৩৮ শতাংশ ডুমুর, ৫ শতাংশ ফুল এবং ৬ শতাংশ পাতাকুঁড়ি রয়েছে।
বাংলাদেশে উল্লুক প্রজাতির বর্তমান অবস্থা: লাউয়াছড়া বনে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইপ্যাক ও বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের মে মাসে ইংল্যান্ডে অধ্যয়নরত ফিনল্যান্ডের ছাত্রী পেট্টা লাউয়াছড়ার উল্লুকের ওপর গবেষণা করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, লাউয়াছড়ায় ১৪টি উল্লুক পরিবার রয়েছে। এদের প্রতি পরিবারের সদস্য সংখ্যা ২থেকে ৫। সেই হিসাব অনুযায়ী এখানে মোট উল্লুকের সংখ্যা ৫১। চার দশক আগেও বাংলাদেশের বনে বসবাসকারী উল্লুকের সংখ্যা ছিল প্রায় তিন হাজার। কিন্তু সেখান থেকে এখন সেটি মাত্র কয়েকশত প্রাণীতে এসে ঠেকেছে। বাংলাদেশে উল্লুক বিষয়ক গবেষণা অত্যন্ত সীমিত।
উল্লুক সংরক্ষণে করণীয়:
গবেষকগণ মনে করেন, এ বিষয়ে গবেষণা ও কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হলে এবং লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কে বর্তমানে বসবাসরত উল্লুক যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হলে বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীটি হয়তো টিকে যাবে। তাদের মতে, বাংলাদেশের অন্যান্য বনাঞ্চলের চেয়ে উল্লুক বসবাসের জন্য এখনো লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক অনেক বেশি উপযোগী। দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সাদা উল্লুক সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া জরুরি। আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা আইইউসিএনের বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রাণীদের লাল তালিকায়ও রয়েছে এই প্রাণীটি।
⚠️বিরল প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর মধ্যে রয়েছে উল্লুক। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ প্রজাতির প্রাণী বেশিদিন আর টিকতে পারবে না। এর প্রধান কারণ হচ্ছে নির্বিচারে বন উজার এবং বনাঞ্চলে ফলজগাছের দুষ্প্রাপ্যতা। তাছাড়া উপজাতিদের উল্লুক হত্যা করে খাদ্য হিসেবে গ্রহণও একটি কারণ। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রাণীটির সংখ্যা দুইশ এরও কম।
References :
1.https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&opi=89978449&url=https://www.unitednews24.com/%25E0%25A7%25A8%25E0%25A7%25AA-%25E0%25A6%2585%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%259F%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B6%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AC-%25E0%25A6%2589%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%2595-%25E0%25A6%25A6/&ved=2ahUKEwjUiMTQ-I6CAxWDRN4KHb2jBfIQFnoECAoQAQ&usg=AOvVaw23ykVlschINpF8Acq8By3o
2.https://www.internationaldays.co/event-kids/international-gibbon-day/r/recGOkiGslLoQOi2j
3.https://www.balisafarimarinepark.com/international-gibbon-day-celebrite-guardian-of-canopy/
Content Credit:
✏️ Written By :
Efrin Anowar
General Member
Team: Odyssey
Department Of Zoology
Session: 2019-20
Poster Credit :
Nusrat Tasnim
General Member
Team : Odyssey
Department Of Geography and Environmental Studies
Session : 2021-22