হঠাৎ কেন এত শিলা বৃষ্টি❓ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টি বাংলাদেশে নতুন নয়, কিন্তু শিলাবৃষ্টির তীব্রতা, শিলার আকার আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। শিলাবৃষ্টির এই তীব্রতায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি, ফসলি জমির ক্ষতি আগের চেয়ে বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে। 🌨️শিলাবৃষ্টি কেন হয়? আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চৈত্রের শেষ ও বৈশাখের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমা মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কালবৈশাখী হয়। এ সময় বৃষ্টির ফোঁটাগুলো পড়ার সময় প্রায়ই মাঝপথে বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপের মধ্যে পড়ে। ফলে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো নিচে নামতে নামতে তার কিছু অংশ আবার ওপরে উঠতে শুরু করে এবং আরও ঠান্ডা হতে থাকে। ঘনীভূত পানির ফোঁটাগুলো আরও ভারী হয়ে আবার নিচে নামতে থাকে এবং আবার গরম বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপে পড়ে তার কিছু অংশ আবার ওপরে উঠতে থাকে। কয়েকবার ওঠানামা করতে করতে পানির ফোঁটাগুলোর কিছু অংশ ছোট ছোট বরফখণ্ডে পরিণত হয়। এগুলো বেশি ভারী বলে আর ওপরে উঠতে পারে না। তখন বৃষ্টির ধারার সঙ্গে নিচে নেমে আসে। এটাই শিলাবৃষ্টি। ⛈️শিলাবৃষ্টির তীব্রতা কেন এত বেশি? 🔸শিলাবৃষ্টির প্রধান শর্ত হলো প্রচণ্ড গরম। চৈত্র–বৈশাখ মাসে এ রকম গরম পড়ে। ফলে কালবৈশাখীর সময় শিলাবৃষ্টি হয়। 🔸 কিন্তু জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ। পৃথিবী যেদিকে উত্তপ্ত শিলাবৃষ্টির পরিমাণ সেখানেই বেশি। অতিরিক্ত গরম ও বাতাসের উর্ধ্বমুখী চাপের কারণে শিলার ওজন হয়ে দাড়িয়েছে গড়ে প্রায় ১৮০- ২০০ গ্রাম। 🔸বাংলাদেশে বায়ুদূষণের মাত্রা অত্যধিক। বাতাস যত ভারী হবে শিলার আকার তত বড় হতেই থাকবে। বিশেষ করে শিল্প এলাকায়। বড় আকারের শিলার কারণে জানমালের ব্যাপক হারে ক্ষতিসাধন হচ্ছে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে শিলাবৃষ্টির কম্পাঙ্ক, সময়কাল এবং তীব্রতা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। ⭕ ২০১৮ সালে চৈত্রের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। জানা যায়, সে সময় ছয়জন মারা যান। ⚠️ শিলাবৃষ্টির ক্ষতি থেকে বাঁচতে যা যা করা যেতে পারে: ১. শিলাবৃষ্টি এড়াতে খোলা জায়গায় না থেকে কংক্রিটের ছাউনির নিচে থাকাই শ্রেয়। টিনের চাল পরিহার করা ভালো কারণ শিলা টিনের চালকেও ফুটা করে দেওয়ার ঘটনা খুব একটা বিরল নয়। ২. গাড়ি খোলা জায়গায় পার্কিং না করা উচিত। গাড়িতে থাকলে ধীরে গাড়ি চালানো উচিত। ৩. ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক তার স্পর্শ না করা। ৪. পাহাড়ি এলাকায় কোনো গুহায় প্রবেশ না করা।
📌References: 1. https://www.jagonews24.com/amp/931519
2.https://www.banglatribune.com/.../%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0...
3.https://bangla.bdnews24.com/.../environment...
📝Content Credit:
🖋️Written By: Efrin Anowar
Asst. Publication and Publicity Secretary,CUSS
Department of Zoology
Session: 2019-2020
🖼️Poster Credit: Shishir Dutta
IT Secretary, CUSS
Department of Soil Science
Session: 2019-2020
CUSS sparks synergy between science and society, founded in 2018. Committed to progress, awards, and collaboration, we champion multidisciplinary initiatives. Join active members shaping a better future. Igniting change, earning accolades – CUSS is the catalyst for transformative impact.
University of Chittagong,
Chittagong, Bangladesh
cuss.cu.bd@gmail.com
+880 1521 527 569